এক প্রতিবেদনে সিনেট জানিয়েছে, হ্যাকিংয়ের ক্ষেত্রে ওয়াই-ফাই যুক্ত ডিভাইস থেকে শুরু করে ইন্টারনেট সংযোগবিহীন ডিভাইস কোনোটিই হ্যাকারদের আওতার বাইরে নয়।
সিনেটের তথ্য অনুযায়ী, ডেফকন আয়োজকরা প্রথমদিনই সাংবাদিকদের সম্মেলনস্থলের ওয়াই-ফাই সম্পর্কিত নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক করে দেন। পরবর্তীতে বিভিন্ন সেশনে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ নানা ধরনের নিরাপত্তা দুর্বলতা প্রসঙ্গে আলোচনা করেন। সম্মেলনে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অধিকাংশ ওয়াই-ফাই নির্ভরযোগ্য নয়, বিশেষ করে সবার জন্য উন্মুক্ত এমন ওয়াই-ফাই।
এ ছাড়া বিশেষজ্ঞরা ফিশিং ইমেইল সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তাদের ভাষ্য অনুসারে, এসব ইমেইল আর দশটা সাধারণ ইমেইলের মতো মনে হলেও এগুলোতে হ্যাকিং কোড থাকে বা ভুয়া ওয়েবসাইটের লিংক থাকে। এসবের মাধ্যমে সহজেই হ্যাকাররা ইমেইলভিত্তিক নানা সাইবার আক্রমণ চালাতে পারে। ইমেইলভিত্তিক সাইবার আক্রমণ এড়াতে অপরিচিতজনের পাঠানো মেইল লিংকে ক্লিক না করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা সম্প্রতি আবিষ্কৃত গুগল অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যারের নিরাপত্তা ত্রুটি ‘স্টেজফ্রাইট’ নিয়েও আলোচনা করেছেন। এই নিরাপত্তা ত্রুটির সুযোগে অ্যান্ড্রয়েড মেসেজের সঙ্গে পাঠানো মাল্টিমিডিয়া ফাইলের ক্ষতিকারক সফটওয়্যার ইনস্টল করে দিতে পারে হ্যাকাররা।
পাসওয়ার্ড নিরাপত্তা বজায় রাখতে চাইলে ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন সাইটের জন্য ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সিনেটের তথ্য অনুযায়ী, পাসওয়ার্ড নিরাপদ রাখার টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন প্রক্রিয়াটিকেও সম্পূর্ণ নিরাপদ বলা যায় না। হ্যাকাররা এক্ষেত্রে ‘জিরো ডে এক্সপ্লয়েট’ অর্থ্যাৎ সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানের অজানা বা ফিক্স করা হয়নি এমন নিরাপত্তা ত্রুটির উপর নির্ভর করে এবং এর সুযোগ নেয়।
এসব বাদে ইন্টারনেট সংযোগের বাইরে রয়েছে এ ধরনের কৃত্রিম উপগ্রহ, মিলিটারি রাইফেল, মেডিক্যাল ডিভাইস, গাড়ি এবং কম্পিউটার কীভাবে হ্যাক করা সম্ভব সে বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
ফোন নেটওয়ার্ক ও ইলেকট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের সাহায্যে এ ধরনের ইন্টারনেট সংযোগবিহীন ডিভাইস হ্যাক করা সম্ভব। সাম্প্রতিক সময়ে ইসরাইলের বেন-গারিয়ন ইউনিভার্সিটি অফ দ্য নেগাভের সাইবার সিকিউরিটি রিসার্চ সেন্টারের গবেষকরা বিষয়টি পরীক্ষা করে এর সত্যতা যাচাই করেছেন বলেই জানিয়েছে সিনেট।