পুলিশের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার কাছে এই পোস্টার দেখা গেলেও এই বিষয়ে কিছুই ‘জানেন না’ বলে বক্তব্য এসেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাছ থেকে।
গত এক বছরে সন্দেহভাজন জঙ্গি হামলায় লেখক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট, বিদেশি, ধর্মীয় স্থান লক্ষ্য করে হামলার পর গত ৫ জুন চট্টগ্রামে এক পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রী খুনের পর জঙ্গি-সন্ত্রাসী দমনে ঘোষণা দিয়ে গত শুক্রবার থেকে ‘সাঁড়াশি অভিযান’ শুরু করে পুলিশ।
এই অভিযানে গত পাঁচ দিনে ১৬৬ জন জঙ্গি গ্রেপ্তারের দাবির মধ্যেই বুধবার মহাসড়কে সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলে মুক্তি সরণির দুই পাশের ফটকের বিভিন্ন স্থানে হিযবুতের ১৬টি পোস্টার সাঁটানো দেখা যায়।
জঙ্গিবাদী তৎপরতার কারণে ২০০৯ সালে বাংলাদেশ সরকার হিযবুত তাহরীর সংগঠনটি নিষিদ্ধ করে। তবে মাঝে-মধ্যেই তাদের প্রচারপত্র বিলি এবং পোস্টার সাঁটানোর মতো তৎপরতা দেখা যায়।
নতুন করে লাগানো সরকারবিরোধী এসব পোস্টারে আগামী ১৭ জুন শুক্রবার জাতির উদ্দেশে ‘বিশেষ আহ্বান’ জানানো হয়। সেদিন তারা কী করবে, সে বিষয়ে কিছু লেখা নেই।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল মোড় যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশের সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে এবং সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রণ করা হয় সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসির কক্ষ থেকে।
যে স্থানে হিযবুত তাহরীরের পোস্টার সাঁটানো রয়েছে, তা স্পষ্টত পুলিশের সিসি ক্যামেরার আওতার মধ্যে।
নিষিদ্ধ সংগঠনটির পোস্টারের বিষয়ে জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মুহা. সরাফত উল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিষয়টি জানা নেই। তবে খোঁজ-খবর নিচ্ছি, কারা কখন এসব পোস্টার লাগিয়েছে।”
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকারিয়া বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।